Description
কিছু কথা…
প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের গতি অত্যন্ত দ্রুত। এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া এখন বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন। সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ডিপসিক নামক অনন্য এ বৈশিষ্ট্যের এ প্লাটফর্মটি সম্পর্কে এ বইয়ে ধাপভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বইটিকে পাঠকের সুবিধার জন্য ৩ টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম অংশটি হচ্ছে ডিপসিক বেসিকস যাতে রয়েছে ডিপসিক এর মৌলিক বিষয়সমূহ যেমন ইতিহাস, বিবর্তন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করে, লগইন ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশটি হচ্ছে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং যাতে রয়েছে কিভাবে কমান্ড বা প্রম্পট দিতে হয়, প্রম্পট কিভাবে কাজ করে, কার্যকর প্রম্পট লিখার বিভিন্ন কৌশলসমূহ, ইউনিভার্সেল সেভেন সি এর ব্যবহারসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তৃতীয় অংশটি হচ্ছে পার্সোনাল স্কিল এন্ড প্রোডাক্টিভিটি যাতে রয়েছে নিজের ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় এবং প্রোডাক্টিভিটির টিপস এন্ড ট্রিকস সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন। বইটিতে বাস্তবতার নিরিখে বিভিন্ন উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যাতে পাঠকগণ সহজে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
কেন পড়বেন “ডিপসিক: ইউর পার্সোনাল এআই মেন্টর”?
আপনি কি কখনও ভেবেছেন, যদি আপনার পাশে এমন একজন মেন্টর থাকত, যিনি ২৪/৭ আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন? যিনি কখনো ক্লান্ত হতেন না, বিরক্ত হতেন না, বরং আপনার চিন্তাধারাকে আরও সমৃদ্ধ করতেন? আপনি কি দ্রুত কাজের দক্ষতা বাড়াতে চান, কিংবা স্মার্ট উপায়ে গবেষণা ও লেখালেখি করতে চান? প্রযুক্তির এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কি শুধু বিনোদনের জন্য, নাকি এটি সত্যিই আপনার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে?
এই বইটি আপনাকে এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করবে এবং দেখাবে কিভাবে ডিপসিক কে আপনার পার্সোনাল মেন্টর হিসেবে ব্যবহার করবেন। এটি শুধুমাত্র এআই-এর সাধারণ ব্যবহার শেখানোর জন্য নয়, বরং কিভাবে এআইকে কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়ানো যায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করা যায় এবং সৃজনশীলতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়—সেসব কৌশল নিয়েই লেখা।
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন, তাহলে এই বই আপনাকে তথ্য বিশ্লেষণ, গবেষণাপত্র লেখা, ভাষা শেখা, কিংবা জটিল বিষয় সহজ করে বোঝার কৌশল শিখিয়ে দেবে। যদি আপনি পেশাজীবী হন, তাহলে এখানে পাবেন ইমেল লেখা, প্রতিবেদন তৈরি, প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত, বা নতুন দক্ষতা অর্জনের সহজ উপায়। উদ্যোক্তাদের জন্য রয়েছে মার্কেট রিসার্চ, বিজনেস প্ল্যানিং, এবং কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের কার্যকর কৌশল।
তবে শুধু দক্ষতা অর্জনই যথেষ্ট নয়—এই বই আপনাকে এআই ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা ও নৈতিক দিক নিয়েও সচেতন করবে। এআই থেকে সঠিক তথ্য পাওয়ার কৌশল, ভুল তথ্য এড়ানোর উপায়, এবং নিরাপদ উপায়ে এআই ব্যবহার করার নিয়ম সবই এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
এই বইটি শুধুমাত্র ডিপসিক ব্যবহারের একটি গাইড নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তিপ্রেমী ও দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা। তাহলে আর দেরি কেন? “চ্যাটজিপিটি: ইউর পার্সোনাল এআই মেন্টর” পড়ুন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান!
বিনয়াবনত
এস সরকার
ডিপসিকঃ ইউর পার্সোনাল এআই মেন্টর
প্রথম অংশঃ ডিপসিক বেসিক
বিষয় | পৃষ্ঠা | |||
১ | কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাঃ সংজ্ঞা ও বিবর্তন | —————— | ০৯-১১ | |
১.১ | কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞা | —————— | ০৯ | |
১.২ | কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মূল বৈশিষ্ট্য | —————— | ১০ | |
১.৩ | কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিবর্তন | —————— | ১০ | |
১.৩.১ | উৎপত্তি ও ধারণার সূচনা | —————— | ১০ | |
১.৩.২ | প্রাথমিক উন্নয়ণ | —————— | ১০ | |
১.৩.৩ | প্রথম চ্যালেঞ্জ এবং হতাশার যুগ | —————— | ১১ | |
১.৩.৪ | বিশেষজ্ঞ সিস্টেমের যুগ | —————— | ১১ | |
১.৩.৫ | মেশিন লার্নিং এর উত্থান | —————— | ১১ | |
১.৩.৬ | ডিপ লার্নিং এবং আধুনিক এআই | —————— | ১১ | |
২ | ডিপসিক এর ধারণা ও বিবর্তন | —————— | ১১-১২ | |
২.১ | ডিপসিক এর সংজ্ঞা | —————— | ১১ | |
২.২ | ডিপসিক এর আবিষ্কার | |||
২.৩ | ডিপসিক এর বিবর্তন | —————— | ১২ | |
২.৪ | ডিপসিক ও সনাতন এআই টুলসের পার্থক্য | |||
২.৫ | ডিপসিক এর এডভান্সড ফিচার | —————— | ১২ | |
৩ | ডিপসিক এ ব্যবহৃত জিপিটি মডেল এর কার্যপ্রণালী | —————— | ১৪-১৯ | |
৩.১ | জিপিটি মডেলের সংজ্ঞা | —————— | ১৪ | |
৩.২ | জিপিটি মডেলের মৌলিক ধারণা | —————— | ১৪ | |
৩.২.১ | প্রাক প্রশিক্ষণ | —————— | ১৪ | |
৩.২.২ | ট্রান্সফর্মার আর্কিটেকচার | —————— | ১৪ | |
৩.২.৩ | জেনারেটিভ ক্ষমতা | —————— | ১৪ | |
৩.২.৪ | ভাষাগত প্রসঙ্গ বোঝা | —————— | ১৫ | |
৩.২.৫ | ফাইন টিউনিং | —————— | ১৫ | |
৩.২.৬ | একই সময়ে একাধিক কাজের দক্ষতা | —————— | ১৫ | |
৪ | ডিপসিক কর্তৃক প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ | —————— | ১৬ | |
৪.১ | টোকেনাইজেশন | —————— | ১৭ | |
৪.২ | এম্বেডিং | —————— | ১৭ | |
৪.৩ | ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক বোঝাপড়া | —————— | ১৭ | |
৪.৪ | বৃহৎ ডেটাসেটে প্রশিক্ষণ | —————— | ১৮ | |
৪.৫ | নির্দিষ্ট কাজের জন্য ফাইন টিউনিং | —————— | ১৮ | |
৪.৬ | প্রতিক্রিয়া তৈরি | —————— | ১৮ | |
৪.৭ | পোস্ট প্রসেসিং | —————— | ১৮ | |
৪.৮ | মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়া | |||
৪.৯ | ওয়ার্কফ্লো সহ উদাহরণ | |||
৪.১০ | ডিপসিকের পেছনের মূল প্রযুক্তি |
দ্বিতীয় অংশঃ প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয় | পৃষ্ঠা | |||
৫ | প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মৌলিক বিষয় | —————— | ||
৫.১ | প্রম্পট কি? | —————— | ||
৫.২ | প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং কি? | —————— | ||
৫.৩ | প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? | —————— | ||
৫.৪ | প্রম্পটের প্রকারভেদ | —————— | ||
৬ | প্রম্পটের কার্যকর ব্যবহার | —————— | ||
৬.১ | কার্যকর প্রম্পটের বৈশিষ্ট্য | —————— | ||
৬.২ | কার্যকর প্রম্পট লিখার কৌশল | —————— | ||
৬.৩ | ভালো প্রম্পট লিখার কতিপয় চেকলিস্ট | —————— | ||
৭ | প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং এ 7C এর ব্যবহার | —————— |
তৃতীয় অংশঃ পার্সোনাল স্কিল এন্ড প্রোডাক্টিভিটি
বিষয় | পৃষ্ঠা | |||
৮ | ডিপসিক – আপনার ডিজিটাল জীবনসঙ্গী | |||
৮.১ | এআই মেন্টর কী? কেন এটি আপনার প্রয়োজন? | ———— | ||
৮.২ | গতানুগতিক মেন্টর এবং এআই মেন্টরের পার্থক্য | ———— | ||
৮.৩ | কিভাবে ডিপসিককে আপনার মেন্টর বানাবেন | ———— | ||
৯ | ইন্টারফেস ও অ্যাকাউন্ট সেটআপ | |||
৯.১ | ডিপসিকের সাথে প্রথম পরিচয়: ইন্টারফেস ট্যুর | ———— | ||
৯.২ | অ্যাকাউন্ট সেটআপ ও কাস্টমাইজেশন | ———— | ||
১০ | অধ্যায় ২: দক্ষতা উন্নয়নের বেসিকস | ———— | ||
১০.১ | ভাষা শেখা: ইংরেজি, জাপানি, প্রোগ্রামিং ভাষা | ———— | ||
১০.২ | সময় ব্যবস্থাপনা: স্মার্ট টু-ডু লিস্ট ও রিমাইন্ডার | ———— | ||
১০.৩ | গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণের সহজ পদ্ধতি | ———— | ||
১১ | ক্যারিয়ার গাইডেন্স – চাকরি থেকে ফ্রিল্যান্সিং | ———— | ||
১১.১ | পারফেক্ট রিজিউমি ও কভার লেটার ডিজাইন | ———— | ||
১১.২ | ইন্টারভিউ প্রস্তুতি: কমন প্রশ্নের উত্তর | ———— | ||
১১.৩ | ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট | ———— | ||
১২ | সৃজনশীলতার জগতে ডিপসিক | ———— | ||
১২.১ | কন্টেন্ট রাইটিং:আইডিয়া জেনারেশন থেকে এডিটিং | ———— | ||
১২.২ | আর্ট ও ডিজাইন: লোগো, পোস্টার, গ্রাফিক্স | ———— | ||
১২.৩ | মিউজিক কম্পোজিশন ও লিরিক্স লেখা | ———— | ||
১৩ | প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারি | ———— | ||
১৩.১ | ডেইলি রুটিন প্ল্যানিং: ব্যালেন্সড লাইফস্টাইল | ———— | ||
১৩.২ | ইমেইল ম্যানেজমেন্ট: প্রফেশনাল টেমপ্লেট | ———— | ||
১৩.৩ | স্টাডি/বিজনেস গোল সেটিং | ———— | ||
১৪ | ভবিষ্যতের এআই ও আপনার প্রস্তুতি | ———— | ||
১৪.১ | এআই ট্রেন্ডস ২০৩০: কী শিখবেন এখনই? | ———— | ||
১৪.২ | ডেটা প্রাইভেসি: কী শেয়ার করবেন, কী নয় | ———— | ||
১৪.৩ | এআই-ফ্রেন্ডলি ক্যারিয়ার প্ল্যানিং | ———— | ||
১৫ | ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সচেতনতা | ———— | ||
১৬ | ডিপসিক ও অন্যান্য মডেলের কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান | ———— | ||
১৭ | রেফারেন্স |
২. ডিপসিক এর ধারণা ও বিবর্তন
২.১ DeepSeek কি?
DeepSeek চীন দেশের একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান। এর সদর দপ্তর দক্ষিণ পূর্ব চীনের হাংঝু শহরে। এটি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। DeepSeek অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ২০ জানুয়ারি মুক্তি পায়। এর শক্তিশালী এ আই অ্যাসিস্ট্যান্ট চ্যাটজিপিটির মতই কাজ করে। এটি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ পারদর্শী। DeepSeek R1 মডেলটি গণিত, কোডিং এবং সাধারণ জ্ঞান এর বিভিন্ন কাজে পারদর্শী। DeepSeek মডেলগুলি সর্বাধুনিক মেশিন লার্নিং আর্কিটেকচার, যেমন ট্রান্সফরমার, এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এগুলোকে বিপুল পরিমাণ ডেটা দ্বারা প্রশিক্ষিত করা হয় যাতে মানুষের মতো টেক্সট বুঝতে এবং তৈরি করতে পারে।
২.২ ডিপসিক এর আবিষ্কারঃ
২০২৩ সালের কাছাকাছি সময়ে ডিপসিকের কার্যক্রম শুরু হয়। এটি চীনের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (Public-Private Partnership) গঠিত একটি প্রজেক্ট হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন: চায়না ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি) এবং টেক জায়ান্টদের (যেমন: Tencent, Alibaba) সমন্বয়ে কাজ করা হয়।
২.৩ DeepSeek-এর বিবর্তন
ক) প্রাথমিক উন্নয়ন (প্রাথমিক পর্যায়):
ভিত্তি: DeepSeek-এর প্রাথমিক উন্নয়ন শুরু হয়েছিল একটি শক্তিশালী AI মডেল তৈরি করার লক্ষ্যে যা মানুষের ভাষা বুঝতে এবং তৈরি করতে সক্ষম। প্রাথমিক সংস্করণগুলি টেক্সট শ্রেণীবিভাগ (Text Classification) এবং সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণের (Sentiment Analysis) মতো মৌলিক Natural Language Processing-NLP কাজগুলিতে ফোকাস করেছিল।
আর্কিটেকচার: DeepSeek-এর প্রথম সংস্করণগুলি সহজ মেশিন লার্নিং মডেল, যেমন Recurrent Neural Network (RNN) এবং Long Term Memory Network (LSTM) ব্যবহার করেছিল।
খ) ট্রান্সফরমার আর্কিটেকচারে অগ্রগতি:
ট্রান্সফরমার গ্রহণ: 2017 সালে Vaswani et al. দ্বারা ট্রান্সফরমার আর্কিটেকচার প্রবর্তনের সাথে সাথে DeepSeek মডেলগুলি এই নতুন আর্কিটেকচার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। ট্রান্সফরমারগুলি সিকোয়েন্সিয়াল ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং টেক্সটে দীর্ঘ-পরিসরের নির্ভরতা আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করে।
২.৫ ডিপসিক এর এডভান্সড ফিচার
ডিপসিক (DeepSeek) সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত একটি প্ল্যাটফর্ম। এটির বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি অন্যান্য সমসাময়িক প্লাটফর্মের থেকে এগিয়ে রয়েছে। নিম্নে এর এডভান্সড ফিচারগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
১. মাল্টি-মোডাল এআই প্রসেসিং
এটি টেক্সট, ইমেজ, অডিও, ভিডিও—সব ধরনের ডেটা একসাথে প্রসেস করার ক্ষমতা রাখে। ফলে খুব কম সময়ে অধিক সংখ্যক ডেটাকে সে তার আওতায় নিয়ে আসতে পারে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
উদাহরণ:
- একটি ভিডিও ক্লিপ বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাপশন জেনারেট করা (যেমন: “ভিডিওতে একজন মহিলা গিটার বাজাচ্ছেন এবং পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে”)।
- মেডিকেল রিপোর্ট (টেক্সট) এবং এক্স-রে ইমেজ একত্রে এনালাইজ করে রোগ নির্ণয়।
২. রিয়েল-টাইম ডিসিশন মেকিং
বিভিন্ন ডেটা স্ট্রিম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ডিপসিকের। এর ফলে সে তাৎক্ষণিক ভাবে রিয়েল টাইম ডিসিশন মেকিং করতে পারে।
উদাহরণ:
- একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি রিয়েল-টাইমে ট্র্যাফিক ডেটা, ক্যামেরা ফুটেজ, এবং সেন্সর ডেটা ব্যবহার করে ব্রেক বা লেন চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
- স্টক মার্কেটের ফ্লাকচুয়েশন বিশ্লেষণ করে মিলিসেকেন্ডে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত।
৩. এডাপ্টিভ লার্নিং (AutoML)
স্বয়ংক্রিয়ভাবে মডেলটি আর্কিটেকচার ও হাইপারপ্যারামিটার অপ্টিমাইজ করতে পারে।
উদাহরণ:
- একটি ই-কমার্স কোম্পানি তাদের কাস্টমার ডেটা আপলোড করলে ডিপসিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেরা মডেল বেছে নিয়ে প্রেডিক্ট করে কোন গ্রাহক কোন মাসে কোন পণ্য কিনবে।
- ছাত্রদের পারফরম্যান্স ডেটার ভিত্তিতে পার্সোনালাইজ্ড লার্নিং পাথ জেনারেট করা।
৪. এক্সপ্লেইনেবল এআই (XAI)
এআই-এর সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারা। অর্থাৎ কোন সিদ্ধান্ত নিলে তা কোন কোন কারণে নেয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা রয়েছে এক্সপ্লেইনেবল এ আই এর।
উদাহরণ:
- লোন অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট করলে ডিপসিক বলে দেবে: “আপনার ক্রেডিট স্কোর ৬৫০-এর নিচে, এবং গত ৬ মাসে ৩টি লেট পেমেন্ট রেকর্ড আছে।”
- মেডিকেল ডায়াগনোসিসে হাইলাইট করা হবে কোন লক্ষণ বা টেস্ট রেজাল্ট রোগ নির্দেশ করছে।
৪. ডিপসিক কর্তৃক প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ
DeepSeek, একটি উন্নত ভাষা মডেল হিসাবে, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (NLP), মেশিন লার্নিং (ML), এবং ডিপ লার্নিং এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভাষা প্রক্রিয়া করে। নীচে DeepSeek কীভাবে ভাষা প্রক্রিয়া করে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হল, প্রধান উপাদানগুলিতে বিভক্ত, এবং প্রতিটি ধাপ উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করা হল।
৪.৯ ওয়ার্কফ্লো সহ উদাহরণ
ইনপুট: “ফটোসিনথেসিস কীভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করুন।”
১। টোকেনাইজেশন: [“ব্যাখ্যা”, “কীভাবে”, “ফটোসিনথেসিস”, “কাজ”, “করে”, “।”]
২। এম্বেডিং: প্রতিটি টোকেন একটি ভেক্টরে রূপান্তরিত হয়।
৩। প্রাসঙ্গিক বোঝাপড়া: মডেল “ফটোসিনথেসিস” কে মূল বিষয় এবং “ব্যাখ্যা” কে ক্রিয়া হিসাবে চিহ্নিত করে।
৪। প্রতিক্রিয়া তৈরি: মডেলটি তার প্রশিক্ষণ ডেটার ভিত্তিতে একটি সুসংগত ব্যাখ্যা তৈরি করে।
৫। আউটপুট: “ফটোসিনথেসিস হল সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গাছগুলি সূর্যালোক, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং জলকে গ্লুকোজ এবং অক্সিজেনে রূপান্তর করে। এটি গাছের কোষের ক্লোরোপ্লাস্টে ঘটে।”
৭. প্রম্পট ইজিনিয়ারিং এ “Seven C” মডেলের ব্যবহার
“Seven C” মডেলের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
আবিস্কারঃ ১৯৫২ সালে প্রথমে University of Wisconsin এর দুইজন প্রফেসর Scott M Cutlip and Allen H. Centre তাদের রচিত “Effective Public Relation” বইয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে “Seven C” মডেল প্রবর্তন করেন। এটি যোগাযোগের ৭ মূলনীতি হিসেবে পরিচিত।
৭.৩ Consideration বা বিবেচ্যতাঃ
Consideration হচ্ছে আমরা যার সাথে যোগাযোগ করতেছি তার কথা বিবেচনায় রাখা। অর্থাৎ তার কথা চিন্তা করছি কি না? বা তার মত করে কথা বলছি কি না? যেমন বাচ্চাদের সাথে আমরা একরকম কথা বলি, বয়স্কদের সাথে একরকম, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক রকম ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কথাবার্তা বিভিন্নরকম হয়। সেলসম্যান যারা রয়েছেন তারা কিন্তু তার ক্লায়েন্ট বুঝে তার মত করে কথা বলেন। তাকে বুঝাতে হবে এটা কার জন্য লিখছি। রিসার্চ এর জন্য হলে রিসার্চ এর কথা বলতে হবে। একই ধরণের প্রম্পট বার বার ব্যবহার করলে সে বুঝে ফেলে এবং দ্রুতগতিতে উত্তর প্রদান করতে পারে।
৭.৪ Clarity বা স্পষ্টতাঃ
Clarity হচ্ছে প্রম্পটটি স্পস্ট বা পরিস্কার কি না। জটিল শব্দ, বাক্য ও বিরক্তিকর ভাষা পরিহার করতে হবে। একটি একক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রম্পট লিখতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ের সংমিশ্রণ করা যাবে না। যেমন আমি কালকে আসব। এ বাক্যটিতে কোথায় আসবে? কখন আসবে? কিছুই বলা নাই। সময় ও স্থান বলা হত তাহলে বাক্যটি পরিষ্কার হতো।
যেমনঃ একটি রচনা লিখো ৫ টি প্যারাগ্রাফ এবং ১০০০ শব্দের ভেতর। একটি ছবি আঁক যা ০-৩০ বছর বয়সের বাংলাদেশের মানুষেরা দেখবে। অর্থাৎ একটি সুনির্দিষ্ট ফ্রেমে প্রম্পট দিতে হবে।
তৃতীয় অংশঃ পার্সোনাল স্কিল এন্ড প্রোডাক্টিভিটি
অধ্যায় ১.১: এআই মেন্টর কী? কেন এটি আপনার প্রয়োজন?
এই অধ্যায়ে আপনি শিখবেন এ আই মেন্টরের সংজ্ঞা, সনাতন বনাম আধুনিক এ আই মেন্টরের মধ্যে পার্থক্য, এ আই মেন্টর কেন প্রয়োজন, কিভাবে এ আই কে মেন্টরে পরিণত করা যায় এবং ডিপসিকের সাথে পার্টনারশিপ।
এআই মেন্টরের সংজ্ঞা
AI হচ্ছে Artificial Intelligent এর সংক্ষিপ্ত রুপ Mentor অর্থ পরামর্শদাতা। এআই মেন্টর হলো একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত গাইড যা আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাদার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। এটি শুধু তথ্য দেয় না, বরং আপনার প্রয়োজন, দক্ষতা এবং শেখার গতি অনুযায়ী কাস্টমাইজড পরামর্শ দেয়।
উদাহরণ:
- একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিনের স্টাডি প্ল্যান চাইলে, এআই মেন্টর তার সিলেবাস এবং সময় বিবেচনা করে প্ল্যান তৈরি করে।
- একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি জানতে চাইলে, এআই মেন্টর কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস, টার্গেট অডিয়েন্স ডেটা এবং ট্রেন্ডিং ট্যাকটিক্স শেয়ার করে।
অধ্যায় ১.২: ডিপসিকের সাথে প্রথম পরিচয় – ইন্টারফেস ট্যুর
এই অধ্যায়ে আপনি শিখবেন কিভাবে ডিপসিকের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এক্সেস করবেন, ইন্টারফেসের প্রতিটি অংশের কাজ এবং দ্রুত শুরু করার জন্য টিপস। ডিপসিকের ইন্টারফেসটি ডিজাইন করা হয়েছে সহজভাবে এবং দক্ষতার সাথে। বাংলা ভাষায় যেকোনো ব্যবহারকারী যেন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন, সেটিই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। ডিপ সিক এক্সেস এবং বিভিন্ন সেটিংস এর বিষয়গুলো ধাপে ধাপে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
ধাপ ৩: সময়ের ফাঁদ এড়ানোর কৌশল
১. পমোডোরো টেকনিক:
এটি সময় ব্যবস্থাপনার একটি পদ্ধতি যা ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে ফ্রান্সিস্কো সিরিলো উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতিতে একটি টাইমার ব্যবহার করে একটি কাজকে ছোট ছোট সময়ের ভগ্নাংশে ভাগ করে সম্পন্ন করা হয়।
ডিপসিককে বলুন: “২৫ মিনিটের জন্য টাইমার সেট করো → ৫ মিনিট ব্রেক।”
টিপ: প্রতি ৪ সাইকেল পর ৩০ মিনিট লং ব্রেক নিন।
২. ডিস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট:
ফোকাস মোড: ডিপসিক সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন ব্লক করার পরামর্শ দেবে।
উদাহরণ: “ডিপসিক, পরবর্তী ২ ঘণ্টা আমার ফোনে শুধু জরুরি কল আসুক।”
৩. এনার্জি লেভেল ট্র্যাকিং:
ডিপসিক আপনার কাজের সময় বিশ্লেষণ করে বলবে কোন সময়ে আপনি সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ (যেমন: সকাল ১০-১২ টা)।
ডিপসিকের ব্যবহার:
সকাল ৬টায় টু-ডু লিস্ট পেয়ে দিন শুরু করেন (কাজের প্রায়োরিটি অনুযায়ী)।
লোকেশন-বেসড রিমাইন্ডার: স্কুল থেকে বাচ্চা আনার সময় জানান দেয়।
ফলাফল: ৩০% বেশি প্রোডাক্টিভ, স্ট্রেস ৫০% কম!
অধ্যায় ২.৩: গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণের সহজ পদ্ধতি
এই অধ্যায়ে আপনি শিখবেন কিভাবে গবেষণার প্রশ্ন ঠিক করবেন, ডেটা বিশ্লেষণের স্বয়ংক্রিয় টুলস কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং রিপোর্ট লেখার সময় সাশ্রয়ী উপায়সমূহ কি কি।
গবেষণা ও ডেটা বিশ্লেষণ আজকের যুগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মেরুদণ্ড। কিন্তু জটিল স্ট্যাটিস্টিক্স বা টুলসের ভীতি অনেককে পিছিয়ে রাখে। ডিপসিক আপনাকে এক ক্লিকে ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং ভিজুয়ালাইজেশন করতে সাহায্য করবে।
১১.০ ক্যারিয়ার গাইডেন্সঃ চাকুরী থেকে ফ্রিল্যান্সিং
১১.১ পারফেক্ট রিজিউমি ও কভার লেটার ডিজাইনে ডিপসিকের ভূমিকা
ডিপসিকের এআই টুলস ব্যবহার করে আপনি নিমিষেই একটি পারফেক্ট, পেশাদার এবং ফলপ্রসূ রিজিউমি ও কভার লেটার ডিজাইন করতে পারবেন। ডিপসিক (DeepSeek) একটি এআই-চালিত প্ল্যাটফর্ম যা চাকরি প্রার্থীদের জন্য রিজিউমি ও কভার লেটার ডিজাইন এবং অপ্টিমাইজেশনে নিম্নলিখিতভাবে সাহায্য করতে পারে:
১. এপ্লিকেন্ট ট্রাকিং সিস্টেম (ATS) বান্ধব রিজিউমি অপ্টিমাইজেশনঃ
ডিপসিক জব ডেস্ক্রিপশন স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড চিহ্নিত করে, সেগুলো আপনার রিজিউমিতে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেয়। এতে এটিএস সিস্টেমে আপনার রিজিউমির র্যাংকিং বৃদ্ধি পায়। এটিএস-ফ্রেন্ডলি ফরম্যাট নিশ্চিত করে (যেমন: টেবিল, গ্রাফিক্স, অতিরিক্ত কলাম এড়ানো) এবং পিডিএফ ফাইলের রিডএবিলিটি টেস্ট করে।
১৪. ভবিষ্যতের এ আই ও আপনার প্রস্তুতি
১৪.১ এআই ট্রেন্ডস ২০৩০: কী শিখবেন এখনই?
প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতের কাজ, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার পদ্ধতিগুলো রূপান্তরিত করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এআই-এর যে ট্রেন্ডগুলো বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, সেগুলো নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এই অধ্যায়ে আমরা ২০৩০ সালের সম্ভাব্য এআই ট্রেন্ডগুলোর বিশ্লেষণ করব এবং কীভাবে আপনি এগুলোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা করব।
১৬. রেফারেন্স
1.”AI for Everyone” by Andrew Ng (Coursera)
- Brown, T, et al (2020), Language models are few-shot learners”, NeurIPS.
- ChatGPT: Complete ChatGPT Course for Work 2925, Stave Bellinger, MBA
- Davis, R. (2023). AI in E-commerce: Boosting Sales and Customer Experience 112-115
- LeCun, Y, Bengio, Y & Hinton, G. (2015). Deep Learning 438-442
- Russel, S & Norvig, P. (2010). Artificial Intelligence: A Modern Approach (3rd ed), 40-45
- Smith, J (2023). Improving the Efficiency and Accuracy of AI Models. Journal Of Computational Linguistics, 38(2), 112-120.
- Sherry, J. 2023. Friendship with AI: emotional Attachments to machine, 27(4) 95-97
- The Fourth Industrial Revolution, Klaus Schwab
- IBM Official website (www.ibm.com)
- Deep Seek Official Website (www.deepseek.com)
Reviews
There are no reviews yet.