Sale!

15 গোল্ডেন রুলস অফ টাইম ম্যানেজমেন্ট

Original price was: 250.00৳ .Current price is: 99.00৳ .

সময়ের অদৃশ্য স্রোতে ভেসে চলেছি আমরা সবাই। প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা, তবুও কাজের পাহাড় ঠেলে ওঠা যেন এক অসম লড়াই। অফিসের ডেডলাইন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, ব্যক্তিগত স্বপ্নের চেষ্টা—একসাথে সামলাতে গিয়ে মনে হয় না কি, “দিন যদি আরও কয়েক ঘণ্টা লম্বা হতো!” কিন্তু সময় তো অমোঘ, তার গতিকে থামানো অসাধ্য। তবে সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় আর এখানেই জন্ম নেয় ” 15 গোল্ডেন রুলস অফ টাইম ম্যানেজমেন্ট”-এর প্রাসঙ্গিকতা। এখানে নেই কোনো জাদুর কাঠি, আছে ১৫টি সুনির্দিষ্ট স্বর্ণালি নিয়ম—যেগুলো বিশ্বজুড়ে সিইও, শিল্পী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণীরাও কাজে লাগিয়ে সময়কে বানিয়েছেন নিজের “নীরব অংশীদার”।

Category:

Share this on:

[Sassy_Social_Share]

Description

কিছু কথা……

সেকেন্ড, মিনিট আর ঘন্টা- ঘড়ির তিন কাটা। মিনিট—যেন এক উদ্ধত যাত্রী, তার ৬০টি ছন্দে পা ফেলে চলে অনন্ত গতিতে অসীমের পথে, কিন্তু কখনও থামে না কোনো চিহ্নিত গন্তব্যে! সেকেন্ডগুলো হলো অদৃশ্য শিল্পীর ব্রাশস্ট্রোক, প্রতি মুহূর্তে রঙিন করে তোলে জীবনের ক্যানভাস, আর আপনি হয়তো জানতেও পারেন না কখন ৮৬,৪০০টি স্টোক জমা হয়ে তৈরি হয়ে গেলো গেল এক সুবিশাল ছবি। আর ঘণ্টা? সেটা তো সময়ের মহাযজ্ঞের পুরোহিত—প্রতিবার পূর্ণচন্দ্রের মতো গম্ভীর হয়ে উঠে, তার পরেই ঝরে পড়ে ৩,৬০০ সেকেন্ডের পরাগরেণু। আমরা সবাই এই নিঃশব্দ যন্ত্রণায় আটকা—মিনিটের দৌড়ে হাঁপাচ্ছি, সেকেন্ডের ফাঁদে পড়ে টুকরো টুকরো হচ্ছি, আর ঘণ্টার দরজায় কড়া নাড়ছি গুনে গুনে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন: এই ৬০ সেকেন্ডের মিনিটই যদি আপনার হাতে থাকত এক টুকরো মহাকাশ? যেখানে আপনি বুনতে পারতেন নক্ষত্রের মালা, লিখতে পারতেন বৃষ্টিভেজা কবিতা, কিংবা জন্ম দিতে পারতেন এমন এক আইডিয়া—যা হয়তো পাল্টে দিত আপনার মহাবিশ্বের গতিপথ!”

সময়ের অদৃশ্য স্রোতে ভেসে চলেছি আমরা সবাই। প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা, তবুও কাজের পাহাড় ঠেলে ওঠা যেন এক অসম লড়াই। অফিসের ডেডলাইন, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, ব্যক্তিগত স্বপ্নের চেষ্টা—একসাথে সামলাতে গিয়ে মনে হয় না কি, “দিন যদি আরও কয়েক ঘণ্টা লম্বা হতো!” কিন্তু সময় তো অমোঘ, তার গতিকে থামানো অসাধ্য। তবে সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় আর এখানেই জন্ম নেয় ” 15 গোল্ডেন রুলস অফ টাইম ম্যানেজমেন্ট”-এর প্রাসঙ্গিকতা। এখানে নেই কোনো জাদুর কাঠি, আছে ১৫টি সুনির্দিষ্ট স্বর্ণালি নিয়ম—যেগুলো বিশ্বজুড়ে সিইও, শিল্পী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণীরাও কাজে লাগিয়ে সময়কে বানিয়েছেন নিজের “নীরব অংশীদার”।

“15 গোল্ডেন রুলস অফ টাইম ম্যানেজমেন্ট” বইটি কেন আপনার জন্য জরুরি?

আপনি যদি প্রতিদিন নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন—

  • কেন এত ব্যস্ত থাকার পরেও লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আছি?
  • কীভাবে কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন যেন বিষিয়ে উঠছে?
  • অন্যের সাফল্য দেখে কি নিজেকে সময়ের অপচয়কারী ভাবছেন?

তবে এই বইটি আপনার হাতের ঘড়িটিকে নতুন করে সাজানোর রহস্য জানাবে। সময়কে শুধু “ম্যানেজ” নয়, “গড়ে নেওয়ার” সর্বজনস্বীকৃত ১৫টি স্বর্ণালি কৌশল এখানে উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নিয়ম প্রয়োগে আপনি পাবেন: উৎপাদনশীলতার জাদুকরী বৃদ্ধি, চাপমুক্ত মন ও সুশৃঙ্খল জীবন, লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার রোডম্যাপ, কর্মব্যস্ততা ও ব্যক্তিগত সুখের মধ্যে সামঞ্জস্য এবং স্রষ্টার কলমে সময়ের নতুন সংজ্ঞা। প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে বাস্তব জীবনের গল্প যা আপনাকে সম্পূর্ণ বইটি পড়ার জন্য দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।

শেষ কথা নয়, শুরু যাত্রা

এই বই শুধু পাঠ্য নয়, এক্সপেরিমেন্টের খাতা। প্রতিটি পাতায় আছে চ্যালেঞ্জ, প্রশ্ন ও প্র্যাক্টিকাল টাস্ক। সময়ের সাথে আপনার সম্পর্ক বদলে দেওয়ার এই যাত্রায় আমরা বিশ্বাস করি, “সময় অপচয়” শব্দটি আপনার ডিকশনারি থেকে মুছে যাবে। আজই শুরু করুন—একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রথম ধাপটি এই বইয়ের সাথে হোক।

এই বইয়ে সময়কে শুধু “রিসোর্স” হিসেবে দেখানো হয়নি। সময়কে দেখা হয়েছে “জীবনের কারিগর” হিসেবে—যে প্রতিটি সেকেন্ডে সৃষ্টি করে চলেছে আপনার ভবিষ্যৎ। প্রতিটি অধ্যায় শেষে থাকছে “এক্সারসাইজ”—যেখানে নিজের জীবনেই পরীক্ষা করে দেখবেন নিয়মের কার্যকারিতা।

তাহলে শুরু হোক আমাদের সাথে আপনার রোমাঞ্চকর যাত্রা……

বিনয়াবনত

এস সরকার

সূচিপত্র

বিষয় পৃষ্ঠা
মৌলিক কাঠামো (Foundational Frameworks)  ০৫-১২
১.১আইজেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স (Eisenhower Matrix)০৫-০৮
১.২পারেটো প্রিন্সিপাল (Pareto Principle)০৮-১০
১.৩স্মার্ট গোল ফ্রেমওয়ার্ক (SMART Goals Framework)১০-১২
প্রাত্যহিক কার্যনির্বাহের কৌশল সমূহ (Daily Execution Strategies)১৩-২৫
২.১টাইম ব্লকিং (Time Blocking)১৩-১৫
২.২পমোডরো টেকনিক (Pomodoro Technique)১৬-১৯
২.৩ইট দ্যাট ফ্রগ (Eat That Frog)১৯-২১
২.৪দ্যা টু মিনিট রুল (The 2-Minute Rule)২১-২৩
২.৫এম আই টি মেথড ( MIT- Most Important Task Method)২৩-২৫
উন্নত উৎপাদনশীলতা সম্পর্কিত পদ্ধতিসমূহ (Advanced Productivity Systems) ২৬-৩৫
৩.১জি টি ডি মেথড (GTD- Getting Things Done)২৬-২৯
৩.২এ বি সি ডি মেথড (ABCDE Method)২৯-৩৩
৩.৩পারকিনসন্স ল (Parkinson’s Law)৩৩-৩৬
আচরণগত এবং স্থায়িত্বশীলতা সম্পর্কিত পদ্ধতিসমূহ  (Behavioral & Sustainability Tools) ৩৬-৪৫
৪.১না বলতে শেখা (Learn to Say “No”)৩৭-৩৮
৪.২একক কাজ বনাম একাধিক কাজ (Single-Tasking vs. Multitasking)৩৯-৪১
৪.৩বিশ্রাম এবং নিজের যত্ন (Rest and Self-Care)৪১-৪৩
৪.৪দ্যা আইভি লি মেথড (The Ivy Lee Method)৪৩-৪৫
টাইম ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কিছু উক্তি ৪৬-৪৭
রেফারেন্স ৪৮

১.১ আইজেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স: জরুরি নাকি গুরুত্বপূর্ণ?

আপনার প্রতিদিনের কাজের তালিকা কি লম্বা হতে হতে একসময় ভারী হয়ে যায়? জরুরি আর গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভিড়ে কি সত্যিই যা করা দরকার, তা বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে? দিনের শেষে কি মনে হয়, অনেক ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই বাকি রয়ে গেছে?

তানিয়া, একজন কর্পোরেট কর্মী, প্রতিদিন অফিসের চাপ, ব্যক্তিগত দায়িত্ব আর সৃজনশীল স্বপ্নের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খান। প্রতিটি সকাল শুরু হয় একটি লম্বা টু-ডু লিস্ট দিয়ে, কিন্তু দিন শেষে তিনি আবিষ্কার করেন—সবচেয়ে জরুরি ও মূল্যবান কাজগুলোই ফেলে রাখতে হয়েছে। একদিন, তিনি এক অসাধারণ কৌশল সম্পর্কে জানতে পারেন—‘আইজেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স’। এটি কেবল তার সময় ব্যবস্থাপনাই বদলে দেয়নি, বরং তাকে শিখিয়েছে কীভাবে ব্যস্ততার চক্র থেকে বেরিয়ে এসে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে হয়।

চলুন দেখি কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন?

১। আপনার কার্যক্রম বিশ্লেষণ করুন: কোন কাজগুলো আপনার ৮০% ফলাফল তৈরি করছে তা চিহ্নিত করুন।

২। প্রধান ২০% কাজ খুঁজে বের করুন: সেই কাজগুলোর তালিকা করুন যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে।

৩। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিন বা ডেলিগেট করুন: অপ্রয়োজনীয় ৮০% কাজ চিহ্নিত করে কমিয়ে আনুন।

৪। প্রাথমিক ২০% কাজের ওপর ফোকাস করুন: সবচেয়ে বেশি ফলদায়ক কাজগুলোর জন্য সময় ও শক্তি বাড়ান।

৫। নিয়মিত মূল্যায়ন করুন: নির্দিষ্ট সময় পরপর কাজের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করুন।

এ নীতি ব্যবহারে আপনাদের সাধারণ কিছু ভুল হতে পারে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক সেগুলো কি কি এবং এড়ানোর উপায়গুলো কি কি?

  • সব কাজ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা → সব কাজের প্রভাব সমান নয়, তাই মূল ২০% কাজ খুঁজে নিন।
  • অপ্রয়োজনীয় কাজে বেশি সময় ব্যয় করা → কম ফলদায়ক কাজ কমিয়ে এনে উৎপাদনশীলতা বাড়ান।
  • কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ না করা → কোন কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা আগে ঠিক করুন।
  • মাত্র ২০% কাজেই সীমাবদ্ধ থাকা → সময়ের সাথে সাথে কোন কাজ গুরুত্বপূর্ণ তা পুনঃমূল্যায়ন করুন।

এক্সারসাইজ: নিজের SMART লক্ষ্য সেট করুন!

  • একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যা আপনি আগামী ৩ মাসে অর্জন করতে চান।
  • সেটিকে SMART ফর্ম্যাটে সাজান।
  • আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  • তিন মাস পরে মূল্যায়ন করুন, আপনার লক্ষ্য কতটা সফল হয়েছে।

এই অনুশীলন করলে আপনি বুঝতে পারবেন কীভাবে কার্যকরভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয় এবং তা অর্জনের জন্য কার্যকর কৌশল তৈরি করতে হয়। Time Blocking পদ্ধতি অবলম্বন করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং রফিক কিভাবে তার জীবনকে বদলে দিয়েছিলো তা আমরা দেখবো পরবর্তী অধ্যায়ে।

২.১ টাইম ব্লকিং: সময়কে আয়ত্তে আনার কৌশল

আপনার কি মনে হয়, সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরও আসল কাজগুলো শেষ হয় না? কাজের তালিকা বানালেও কি দিন শেষে দেখেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই অপূর্ণ রয়ে গেছে? ইমেইল, মিটিং, ফোন কল—এসবের মাঝে কি মূল কাজে সময় দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠছে?

রফিক, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিদিন সকালে নিজের কাজের তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু দিন শেষে বুঝতে পারে, তালিকার অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি। একটার পর একটা বাধা—অনবরত ইমেইল, অপ্রয়োজনীয় মিটিং, হঠাৎ আসা ফোন কল—তার মনোযোগ কেড়ে নেয়। একদিন, সে ‘Time Blocking’ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে। এটি একটি সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল, যেখানে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয় এবং সেই সময়ে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেওয়া হয় না। রফিক এই পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করার পর দেখতে পেল, তার উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বেড়ে গেছে।

আপনিও কি দিনের শেষে অপূর্ণ কাজের বোঝা নিয়ে হতাশ বোধ করেন? যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ফোকাস করতে চান, তাহলে Time Blocking কি হতে পারে আপনার সময় ব্যবস্থাপনার গোপন অস্ত্র?

এ পদ্ধতি ব্যবহারের সময় কিছু সাধারণ ভুল হতে পারে। সেগুলো কি কি এবং এবং তা এড়ানোর উপায় সম্পর্কে চলুন একটু জানি……

  • অতিরিক্ত কাজ নির্ধারণ করা → সময়ের বাস্তবসম্মত হিসাব করুন এবং অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেবেন না।
  • lexibility না রাখা → অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাঘাত এড়ানোর জন্য কিছু সময় ফাঁকা রাখুন।
  • নিয়মিত সময় অনুসরণ না করা → সময় ব্লকের নিয়ম মেনে চলুন, অন্যথায় এটি কার্যকর হবে না।
  • ইমেইল ও সামাজিক মাধ্যমের কারণে বিভ্রান্ত হওয়া → নির্ধারিত সময় ব্যতীত এই কাজগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • ২.২ পমোডরো টেকনিক: সময় ব্যবস্থাপনার জাদুকাঠি

    আপনার কি মনে হয়, কাজ শুরু করলেও মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন? মোবাইল নোটিফিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া, হঠাৎ আসা ফোন কল—এসব কি আপনাকে বারবার বিভ্রান্ত করছে? দিনের শুরুতে বড় পরিকল্পনা করলেও, দিন শেষে লক্ষ্য পূরণ করতে না পারার হতাশা কি আপনাকে গ্রাস করে?

    রাকিব, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংও করে। প্রতিদিনের কাজের তালিকা লম্বা হতে থাকে, কিন্তু সে কিছুতেই কাজ শেষ করতে পারে না। একটু কাজ করতেই মোবাইলে নোটিফিকেশন আসে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকে পড়ে, কিংবা হঠাৎ ফোন কল এসে সব মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। একদিন, সে ‘পমোডরো টেকনিক’ সম্পর্কে জানতে পারে—একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি, যেখানে ২৫ মিনিট গভীর মনোযোগে কাজ করার পর ৫ মিনিট বিরতি নেওয়া হয়। এটি তার কাজে ফোকাস ফিরিয়ে আনে, উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় এবং তাকে ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দেয়।

  • GTD ব্যবহারে সাধারণ ভুল এবং সেগুলো এড়ানোর উপায়
    • সবকিছু মনে রাখতে চেষ্টা করা! → GTD বলে, মনে না রেখে লিখে ফেলুন!
    • একসাথে ১০টা কাজ ধরতে যাওয়া! → একসাথে একটাই কাজ করুন।
    • পর্যালোচনা না করা! → প্রতি সপ্তাহে একবার GTD তালিকা রিভিউ করুন।

    আজকের এক্সারসাইজ

    • আগামীকাল থেকে GTD পদ্ধতি শুরু করুন!
    • আপনার মাথায় থাকা সব কাজ লিখে ফেলুন!
    • Clarify করুন—কোনটা করতে হবে, কোনটা বাদ দিতে হবে!
    • সংগঠিত করে একে একে কাজ শেষ করুন!
    • এবার ট্রাই করুন! দেখবেন, জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে!

    ব্যস্ত পেশাজীবী নাসির কিভাবে ABCDE পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজের অগ্রাধিকার সেট করার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছিলো সে গল্পই থাকছে পরবর্তী অধ্যায়ে।

  • Reference
    1. Allen, D. (2001). Getting things done: The art of stress-free productivity. Penguin.
    2. Tracy, B. (2001). Eat that frog!: 21 great ways to stop procrastinating and get more done in less time. Berrett-Koehler Publishers.
    3. Covey, S. R. (1989). The 7 habits of highly effective people. Free Press.
    4. Clear, J. (2018). Atomic habits: An easy & proven way to build good habits & break bad ones. Avery.
    5. Newport, C. (2016). Deep work: Rules for focused success in a distracted world. Grand Central Publishing.
    6. Koch, R. (1997). The 80/20 principle: The secret to achieving more with less. Doubleday.
    7. Knapp, J., & Zeratsky, J. (2018). Make time: How to focus on what matters every day. Currency.
    8. Bailey, C. (2016). The productivity project: Accomplishing more by managing your time, attention, and energy. Crown Business.
    9. Duhigg, C. (2012). The power of habit: Why we do what we do in life and business. Random House.
    10. Cirillo, F. (2018). The Pomodoro technique: The acclaimed time-management system that has transformed how we work. Currency.
    11. Tracy, B. (2016). Master your time, master your life. Tarcher Perigee.
    12. bing.com
    13. wikipedia.com
    14. google.com

     

  • “অভিনন্দন, সময়ের নতুন সেনাপতি!আপনি শুধু একটি বই পড়া শেষ করেননি, উন্মোচন করেছেন মহাকালের গোপন সিঁড়ি!
    যে সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে লুকিয়ে ছিল সময়ের ১৫টি সোনালি সূত্র—আপনি এখন সেই জ্ঞানীর দলে, যারা জানেন “২৪ ঘণ্টা” আসলে “৮৬,৪০০ সেকেন্ডের মহাযুদ্ধক্ষেত্র”। এই যুদ্ধে আপনি এখন অস্ত্র হাতে নয়, বুদ্ধি হাতে জয়ী হওয়ার মন্ত্র পেয়ে গেছেন!সময়ই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, আর আপনি সেটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার চাবিকাঠি হাতে পেয়েছেন। আশা করি, বইয়ের প্রতিটি নিয়ম আপনাকে আরও সংগঠিত, উৎপাদনশীল এবং সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।এখন চ্যালেঞ্জ একটাই—জ্ঞানকে কাজে লাগানো! শিখতে পারা দারুণ, তবে প্রয়োগই এনে দেয় সত্যিকারের সাফল্য। আপনার প্রতিটি মুহূর্ত হোক অর্থবহ ও কার্যকর।সময়ের সঠিক ব্যবহারই ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ!  

     

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “15 গোল্ডেন রুলস অফ টাইম ম্যানেজমেন্ট”